সৃজীতের স্ত্রীর পরিচয়কে ‘দুর্ভাগ্য’ মনে করেন মিথিলা!
অভিনেতা ও গায়ক তাহসানের সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তাহসানের সঙ্গে ডিভোর্সের পর ওপার বাংলার দর্শকনন্দিত পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এরপর দুই বাংলাতেই সমানতালে কাজ করে চলেছেন তিনি। তাদের বিয়ে নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। তবে সেই সমালোচনাকে পাশ কাটিয়েই দিব্যি ভালো আছেন এই দম্পতি। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৃজিতের সঙ্গে সংসার জীবনের অদ্ভুত এক বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন এই তারকা।
যেখানে মিথিলা বলেছেন, সৃজিতকে কেউ তার বিবাহিত জীবনের বিষয়ে প্রশ্ন করে না। কিন্তু আমায় করে। এই এক জিনিস ‘মায়া’ সিনেমার প্রমোশনের সময়ও হয়েছিল। বাংলাদেশেও সবাই সৃজিতকে ভারতের পরিচালক হিসেবে চেনে। আর আমি তার স্ত্রী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আমি আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করি, পিএইচডি করছি, অভিনেত্রীও। সেগুলো যথেষ্ট নয় আমার পরিচয়ের জন্য? আমায় কেন কারও স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিত হতে হবে?
মিথিলা আরও বলেন, সৃজিত আমাকে চমক দিতে কখনই ভুলে যায় না। আমি উলুপির কথা জানতাম। এখানে এসে দেখলাম, তার তিনটে বড় পাইথন আছে। সত্যি বলতে গেলে আমি কোনোদিন সাপের ভক্ত না। তাই আমি জানি না, যে গোটা বিষয়টায় আমি ঠিক কী অনুভব করব। কিন্তু আমি সৃজিতকে বাধা দিইনি।
সৃজিতের সঙ্গে কি ঝামেলা চলছে মিথিলার? এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, এসব একদমই ভুল কথা। আমি এবং আমার মেয়ে ঢাকায় থাকি। কারণ সেখানে থেকে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। আমাদের পরিবারও ঢাকাতে। আর কলকাতায় আসলে অনেক সময়ই সৃজিত বাইরে থাকে। তাই বলে আমাদের মাঝে কোনো ঝামেলা নেই।
প্রসঙ্গত, ‘দশম অবতার’র পর ‘অতিউত্তম’ ছবির মাধ্যমেই আবার সিলভার স্ক্রিনে ফিরেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মহানায়ক উত্তম কুমারকে দীর্ঘ ৪২ বছর পর আবারও পর্দায় ফিরিয়ে এনেছেন। তাতেও বেশ বাহবা পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে ঈদে আসছে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ও মিথিলা অভিনীত ‘কাজলরেখা’।