ডিএনসিসির প্রশাসককে ঘুষের প্রস্তাব, অতঃপর...

দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ‘ঘুষের প্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে ডিএনসিসির প্রশাসককে উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়ন করার জন্য এ ঘুষের প্রস্তাব করেন।
সরাসরি ঘুষ প্রস্তাব করায় প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি সামনে আসে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসানের স্বাক্ষরে এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ডিএনসিসির সচিবের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মামুন-উল হাসানের স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, অঞ্চল-১, প্রশাসন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বসহ সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, অঞ্চল-১, ৬, ৭ ও ৮ (অ.দা.) মিজানুর রহমানকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯–এর ৪৯–এর (ক), (খ), (ঘ), (ঙ) ও (চ) উপবিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা, দুর্নীতি বা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় মামলা রুজুপূর্বক একই বিধিমালার ৫৫–এর (১) উপবিধি মোতাবেক চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ সময় বিধি মোতাবেক তিনি খোরাকি ভাতা পাবেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ডিএনসিসির প্রশাসককে উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়ন করার জন্য মিজানুর রহমান এ ঘুসের প্রস্তাব করেন। সরাসরি ঘুস প্রস্তাব করায় প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসি সম্প্রতি কয়েকজন কর্মচারীকে উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়ন করে। মূলত উপকর কর্মকর্তা পদটি নবম গ্রেডের কিন্তু এসব পদে ১৬-১৪ গ্রেডের কর্মচারীদেরও পদায়ন করা হয়েছে। মিজানুর রহমানও এ পদের জন্য আগ্রহী ছিলেন।
মোহাম্মদ ইজাজকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় মিজানুর রহমান লেখেন, স্যার আমি মিজানুর রহমান, আমার বর্তমান পদবি: প্রশাসনিক কর্মকর্তা অঞ্চল ১ (উত্তরা) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। স্যার কাজটি করে দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব এবং আপনার জন্য এক লক্ষ টাকার উপহার আছে আমার পক্ষ থেকে। স্যার রাজি থাকলে এক লক্ষ টাকাও দিতে পারি কেউ জানবে না। স্যার কিছু মনে করবেন না।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মিজানুর রহমান বলেন, ঘুষের এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কিন্তু কেন করা হয়েছে আমার সঠিক জানা নেই।