বিশ্বকাপে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে হামলার হুমকি
আর আত্র দুইদিন বাকি। এর পরেই শুরু হবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (পুরুষ)। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে যৌথভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তান। আর ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। কিন্তু হাইভোল্টেজ ম্যাচকে সামনে রেখে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ। এই ম্যাচে জঙ্গি হামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে এই হুমকি দিয়েছে আইএসআইএস।
টুর্নামেন্টে সব থেকে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ জুন নিউইয়র্কের নাসাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচ ছাড়া আরও সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতে। হামলার হুমকি আসার পর পুরো নিউইয়র্কজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করছে অঙ্গরাজ্যটির সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোসুল জানিয়েছেন, খেলাগুলো সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে অঙ্গরাজ্যের সরকার। ইতিমধ্যেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে তার প্রশাসন।
তিনি বলেন, আমি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পুলিশকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বর্ধিত উপস্থিতি, উন্নত নজরদারি এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া সহ উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত করার নির্দেশ দিয়েছি। জন নিরাপত্তা আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং আমরা ক্রিকেট বিশ্বকাপকে নিরাপদ, উপভোগ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হুমকির অগ্রগতি নিয়ে এখনও কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে আইসিসি বলছে, নিউইয়র্ক ভেন্যুসহ পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে নিরাপত্তা সুদৃঢ় করা হবে।
আইসিসির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইভেন্টে প্রত্যেকের নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার এবং আমাদের কাছে একটি ব্যাপক এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আমাদের আয়োজক দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি এবং ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী ল্যান্ডস্কেপ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করি। আমাদের ইভেন্টে চিহ্নিত যেকোনো ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে মাসের শুরুর দিকে নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছে আরেক আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দেশটির সরকার জানিয়েছে, টুর্নামেন্ট ভালোভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ক্রিকেটার ও দর্শকরা যেন স্বস্তিতে নিজেদের কাজ করতে সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।