একা নির্বাচন করলেও পাশ করতাম: তামিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৫ PM

সদ্য সমাপ্ত বিসিবি নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। তার সঙ্গে সরে দাঁড়ান ঢাকার ক্লাব সংগঠকদের বড় একটি অংশও। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। যেখানে পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

নির্বাচনে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের বড় একটি অংশ ভোট বর্জন করে। নির্বাচনের পর বুধবার তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবালও। তিনি জানান, চাইলে একক প্রার্থী হয়েও জিততে পারতেন, কিন্তু নির্বাচনের নামে ‘সিলেকশন’ মেনে নিতে না পেরে সরে দাঁড়িয়েছেন।

তামিম বলেন, ‘আমি এটা গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি স্বতন্ত্র হিসেবেও যদি দাঁড়াতাম আমার পক্ষে কোনো টিম আছে, আমার বিপক্ষে কোনো টিম আছে, তারপরও আমি সহজে পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। আপনি কি মনে করেন ১৫ ক্লাব থাকুক আর না থাকুক আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য (নির্বাচনের) বাস ধরা না ধরা কোনো অপশন ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটি ফেয়ার ইলেকশন হওয়া।’

ক্লাব সংগঠকদের কেউ যেন ভবিষ্যতে নিজেদের অবস্থান বদলে না ফেলেন, সেই আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু অলিখিত রুলস থাকে, আমি সেগুলো ভাঙতে চাই না। সমঝোতার সঙ্গে আমরা একমত ছিলাম না বলেই তো আমরা বের হয়ে এসেছি। উনারা যেটা সঠিক মনে করেছেন, সেটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। কিন্তু আজকে আপনারা যে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন, এই স্টেটমেন্টটাই রাখবেন। ভবিষ্যতে যদি কোনো কিছু হয়, স্টেটমেন্ট বদলে ফেলে আমাদের সঙ্গে এসে বসে যাবেন না।’

এটিকে নির্বাচন বলতেও নারাজ তামিম, ‘আমি মনে করি না এটা কোনো ইলেকশন ছিল। নির্বাচনে সবচেয়ে হাস্যকর যে বিষয়টা লেগেছে সেটা হলো ক্যাটাগরি ২–এ ৪২ ভোট পড়েছে, যার মধ্যে ৩৪টি ই-ভোট হয়েছে, যারা ই-ভোট দিয়েছে তাদেরকেও সেন্টারে দেখেছি। তাহলে কথা হলো তারা কেন ই-ভোট দিলো, ই-ভোট দেয়ার রুলস হলো যারা স্বশরীরে আসতে পারবে না তাদের জন্য, তাহলে এমন ভোটের মোটিভটা কী? আপনি ই-ভোটিং করছেন আবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেন্টারেই থাকছেন তাহলে ই-ভোট করার দরকার কী ছিলো?’