শূন্য রানে আউট হয়েও উগান্ডার অধিনায়ককে টপকে বাবরের বিশ্বরেকর্ড
আগমী ২ জুন শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্বকাপের আগে বড় প্রস্তুতি নিচ্ছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। কোন কোন দল দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলছেন তো কোন দল ঘরোয়া লীগ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তানও সিরিজ খেলছেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দেয় আয়ারল্যান্ড। ম্যাচটিতে চারটি বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। পাক কাপ্তান শূন্য রানে আউট হলেও দল জিতেছ ৭ উইকেটে। এতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা। আর সেই জয়ে একটি রেকর্ডও হয়ে গেছে বাবরের।
নানা আলোচনা-সমালোচনা শেষে পুনরায় দায়িত্ব নেয়ার পর বাবরের নেতৃত্বে রোববার (১২ মে) পাকিস্তান পেয়েছে ৪৫তম জয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন সবচেয়ে বেশি জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক তিনি। এ রেকর্ড গড়ার সময় বাবর ছাড়িয়ে গেলেন উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবাকে। তার অধীনে আফ্রিকান দেশটি জিতেছে ৪৪টি ম্যাচ।
অধিনায়ক বাবর প্রথম জয় পান ২০২০ সালের জানুয়ারিতে লাহোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সে ম্যাচেও তিনি কোনো রান করতে পারেননি। এমনিতে অধিনায়ক হিসেবে সেটি ছিল তার চতুর্থ ম্যাচ, তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাবরের নেতৃত্বে প্রথম তিনটি ম্যাচ হেরেছিল পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়া অধিনায়কদের তালিকায় এখনও দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাঁচজন। তারা হলেন পাকিস্তানের বাবর, উগান্ডার মাসাবা, ভারতের রোহিত শর্মা, মালয়েশিয়ার আহমেদ ফায়াজ, নামিবিয়ার গেরহার্ড এরাসমাস ও নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
কয় দিন পরই ওয়েন্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসন্ন এ বিশ্বকাপে মালয়েশিয়ার ফায়াজ ছাড়া বাকিদের দেখা যাবে। উইলিয়ামসন ও মাসাবা আবার প্রথম পর্বে গ্রুপ ‘সি’-এর লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জয়ের রেকর্ডটি রিকি পন্টিংয়ের, তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া জেতে ১৬৫টি ওয়ানডে। তালিকায় দুইয়ে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনির জয়ের সংখ্যা ১১০টি। টেস্টে ৪৮টি জয় নিয়ে তালিকার দুইয়ে পন্টিং, এখানে তার ওপরে থাকা গ্রায়েম স্মিথের অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে ৫৩টি টেস্ট।