খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান, হতাশ ড্যারেন সামি
ক্রিকেট বিশ্বে বিভিন্ন দেশেই খেলোয়াড়দের দুয়োধ্বনি দেওয়ার রীতি অনেক পুরনো। বাংলাদেশও এর ব্যাতিক্রম নয়। মিরপুর, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট যে মাঠেই খেলা হোক না কেন, ক্রিকেটাররা ভক্তদের দুয়োর মুখে পড়ছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য বেশিরভাগ সময়ই তাদের পারফরম্যান্সকে দায় দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া সব ধরনের খেলায় দুয়ো দেওয়ার এই রীতি আগে থেকেই চলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও স্বাগতিক ক্রিকেটারদের লক্ষ্য করে ‘ভুয়া–ভুয়া’ স্লোগান দিয়েছেন ভক্তরা। যা শুনে হতাশ ক্যারিবীয় কোচ ড্যারেন সামি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচই হয়েছে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রতিদিনই দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল গ্যালারি। তবে বাংলাদেশের ধবলধোলাই দেখে সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ছিলেন। যে কারণে দুয়ো দিয়েছেন ক্রিকেটারদের। প্রথমে বাংলাদেশি সমর্থকদের নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সাবেক ক্যারিবীয় তারকা সামি, ‘বাংলাদেশের সমর্থকরা দারুণ। যখনই আসি আমি সবসময়ই তাদের প্রশংসা করি। যদিও আমি এখন খেলছি না, তারা সবসময় ভালোবাসা প্রকাশ করে।’
পরে খেলোয়াড়দের সাথে সমর্থকদের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সফরকারী এই কোচ। তিনি বলেন, ‘তারা যেভাবে তাদের খেলোয়াড়দের ট্রিট করেছে আমি এটা পছন্দ করিনি। তারা খেলোয়াড়দের ‘ভুয়া–ভুয়া’ বা এমন কিছু বলেছে। আমি শুনেছি, এটার মানে কী। আপনি একজন সমর্থক এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ই চায় ভালো করতে, আপনাদের তাদেরকে সমর্থন করা উচিত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুশীলনে বাংলাদেশি নেট বোলারদের মধ্যে বেশকিছু প্রতিভা খুঁজে পেয়েছেন সামি। এক নেট বোলারকে সিপিএলে খেলাবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। তবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সামি, ‘(তরুণ বোলারকে সিপিএলে নেওয়া) না আমি এমন কিছু করিনি। আমি জানি না এগুলো কিভাবে আসলো। আমি বলতে চাই আমি বাংলাদেশে ১৫ বছর হলো এসেছি। এখানকার মানুষ অনেক ভালো। তারা (নেট বোলার) যখন বল করে আমরা এটা এপ্রিশিয়েট করি। যখন আপনি প্রতিভা দেখবেন তাদেরকে ভালো পরামর্শ দেবেন। আমি নেটে দারুণ কিছু প্রতিভা দেখেছি।’