পারল না বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১০:২৫ PM

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ হেরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা সমালোচনা করে নাস্তানাবুদ করে তুলে। এদিকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেও সিরিজের শেষ ম্যাচে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। সেই চাপ থেকে আর বের হতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হাতছাড়া করে টাইগাররা। ফলে সিরিজ জেতার পরও হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়। অন্যদিকে শেষ ম্যাচে জিতে পাকিস্তান রক্ষা করেছে নিজেদের সম্মান।

টার্গেট তাড়ায় নেমেই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। দলের স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই তানজিদ হাসান তামিম কট বিহাইন্ড হন সালমান মির্জার বলে। পরের ওভারে ফাহিম আশরাফের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক লিটন দাস। লিটনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান (৮ বলে)। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই আরও তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিরাজ ৯ (৮ বলে), জাকের আলী ১ (২ বলে), শেখ মেহেদী শূন্য রান করে আউট হন।

এরপর শামীম হোসেন (৫ বলে ৫) ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন সালমান আলীর বলে। আর ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম করেন মাত্র ১০ রান (১৭ বলে)। এতে মাত্র ৪১ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন লড়াই চালিয়ে যান। তিনি ৩৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন, মারেন ২টি ছক্কা ও ২টি চার। তার ইনিংসই শুধু হারের ব্যবধান কমায়।

পাকিস্তানের পক্ষে সালমান আলী ছিলেন সেরা বোলার। ১৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ পান ২টি করে উইকেট।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। একাদশে আসে পাঁচটি পরিবর্তন। পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ও সাইম আইয়ুব মিলে দলকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে তুলে ফেলেন ৫০ রান।

প্রথম আঘাত আনেন নাসুম আহমেদ। তিনি ফেরান সাইম আইয়ুবকে (২১)। তবে ওপেনিংয়ে নামা শাহিবজাদা তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ৪১ বল খেলে তিনি করেন ৬৩ রান, ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা ও ৬টি চার। তাকেও ফেরান নাসুম।

অন্য ব্যাটারদের মধ্যে হারিস করেন ৫, হাসান নাওয়াজ ৩৩, সালমান আগা ১২ এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩০ রান। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট, নাসুম ২টি এবং শরিফুল ও সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।