টি-টোয়ান্টেই সিরিজ আজ; বাংলাদেশের স্কোয়ার্ডে রয়েছেন যারা
-1101240.jpg?v=1.1)
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারার পর এবার নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ অনুষ্ঠিত হবে। লক্ষ্য এবার হারের বৃত্ত ভেঙে জয় দিয়ে শেষ করা। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে।
টি-টোয়েন্টি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস, যিনি ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে একাদশে ছিলেন না। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশ টানা পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে। যদিও গত বছরের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা, তবে চলতি বছরের মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে তারা। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ হয়ে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয় দলের জন্য।
আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান খেলতে পারেননি। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির পেস আক্রমণ নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পুনরুজ্জীবিত তাসকিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ সাম্প্রতিক সময়ে দাপট দেখাচ্ছে। কিন্তু ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতায় পেসারদের কৃতিত্ব চাপা পড়ে যাচ্ছে।
লঙ্কান সিরিজ দিয়ে দীর্ঘ ১৩ মাস পরে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। হঠাৎ করে এই অলরাউন্ডারকে দলে ডাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। ক্যান্ডিতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, 'আমার মনে হয় বাংলাদেশ অনেকদিন ধরেই একটা অলরাউন্ডার মিস করছিল। যদিও বা আমরা চেষ্টা করছি সাকিবেকে সেই জায়গায় অলরাউন্ডার হিসেবে তৈরি করার এবং সে কয়েকটি ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করেছে।'
সাম্প্রতিক সময়ে টাইগারদের পারফরম্যান্স ভালো না। এমন দুর্দশা থেকে বের হতে উপায় হতে পারে একটি ভালো জয়। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দারুণ এক জয়ই হতে পারে টাইগারদের জন্য ছন্দে ফেরার উপায়। অধিনায়ক লিটন দাসও মাঠে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলার কথা জানিয়েছেন ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জায়গায় আছে। আলাদা ফরম্যাট। সবাই জানি এই ফরম্যাটে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাই চেষ্টা করব। অবশ্যই চেষ্টা করব (ছন্দে ফেরার)। তবে সহজ হবে না। তারা তাদের হোম কন্ডিশনে বেটার সাইড। আমরা চেষ্টা করব আমাদের ১০০% ক্রিকেট খেলার। বাকিটা দেখা যাক।’
এদিকে, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা মনে করেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজটি সহজ হবে না তাদের জন্য। দুই দলেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সামর্থ্য আছে। আসালঙ্কা বলেন, ‘আমি আশা করছি প্রতিযোগিতামূলক সিরিজ হবে। আমি আগেই যেমনটা বললাম, বাংলাদেশ দলে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। আমি আশা করি ভালো রকমের প্রতিযোগিতামূলক একটি সিরিজ হবে।’
নিজেদের ফেভারিট ভাবছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে আসালঙ্কা বলেন, ‘না, আমি এভাবে চিন্তা করি না। তারা টি-টোয়েন্টিতে অনেক ভালো দল। আমাদের মত তারাও তরুণ দল। আমার মনে হয় না আমরা অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ হবে। (পিচ নিয়ে বলতে গেলে) পাল্লেকেলে, ক্যান্ডিতে যেমন পিচ হয় সেরকম পিচই মনে হচ্ছে দেখে। ১৮০ এর বেশি রান হবে বলে আশা করছি।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭ বারের মোকাবিলায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে জয় ও ১১টিতে হেরেছে। মাত্র সাতবার টি২০ ক্রিকেটে ২০০র বেশী রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : লিটস দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমার, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড : চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিষ্কা ফার্নান্দো, দাসুন শানাকা, দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ থিকশানা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, চামিকা করুনারত্নে, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান তুষারা, বিনুরা ফার্নান্দো, ঈশান মালিঙ্গা।