আর কেবল ২০ রানের অপেক্ষা মুশফিক-শান্তর
-1180846.jpg?v=1.1)
মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত যে দায়িত্বটা দারুণভাবে পালন করেছেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মাত্র ৪৫ রানে তিনজন টপ অর্ডার ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পর তারা দুজন হাল ধরেন এবং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশের পক্ষে। গল টেস্টের প্রথম দিন, মঙ্গলবার, মূলত এই জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণেই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে ছিল দিনটি।
দুজনে মিলে গড়েন ২৪৭ রানের অপরাজিত জুটি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দুই সেঞ্চুরিও এসেছে তাদের ব্যাট থেকেই—আগে সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত, এরপর দিনের শেষ ভাগে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান।
মুশফিক আর শান্ত জুটির কাছ থেকে এরপর আর কী চাইতে পারে বাংলাদেশ। নিজেদের কাজ শেষে দলকে এরইমাঝে দিয়েছেন শক্ত ভিত। তবে মানবজনম তো চাহিদার বাধা মানছে না। গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এই জুটি থেকে অন্তত আর ২০টা রান চাইতেই পারেন ক্রিকেট ভক্তরা। সেটা হলেই যে নতুন দুই ইতিহাস হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
টেস্টে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এখন মুশফিক আর শান্তর দখলে। সর্বোচ্চটা আছে হাতের নাগালেই। ২০১৮ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকই মুমিনুল হককে নিয়ে করেছিলেন ২৬৬ রান। সেই রেকর্ড ভাঙতে দরকার ২০ রান।
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের এর চেয়ে বড় জুটিতেও আছে মুশফিকের নাম। ২০১৩ সালে গলে পঞ্চম উইকেটে আশরাফুলের সঙ্গে করেছিলেন ২৬৭ রানের পার্টনারশিপ। সেটা স্পর্শ করতেও দরকার ২০ রান। ২১ রান করলে রেকর্ড এককভাবে নিজেদের দখলে নেবেন মুশফিক ও শান্ত।
দৃষ্টিটা যদি আরও দূরে নিতে চান তবে এই জুটি থেকে চাইতে পারেন আরও ১১৩ রান। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ৩৫৯ রানের। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মহাকাব্যিক সেই পার্টনারশিপ ছিল সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের। গলে সম্ভাবনা আছে তিন রেকর্ডের। বাকি পথটা মুশফিক-শান্ত জুটিই ঠিক করবেন।