টানা ৪১ ঘণ্টা পর রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে বাস চলাচল শুরু

রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলার পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে টানা প্রায় ৪১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় এই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে, শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে দুই জেলার পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সুকুমার ভৌমিক জানান, রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক নেতাদের একটি গ্রুপ কুষ্টিয়ার নেতাদের সঙ্গে রাজবাড়ীর মাছপাড়াতে বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে উভয় জেলার মালিক ও শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি করা হয়। বৈঠকে রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের শাহিন মিয়া, বিপ্লব দত্ত, জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি রমজান আলী খান এবং কুষ্টিয়া সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদসহ বাস ও মিনিবাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও জানান, দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তির পর সোমবার সকাল ৬টা থেকে রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এ ঘটনার পেছনে রয়েছে গত শনিবার কুমারখালী গড়াই সেতু এলাকায় ড্রাম ট্রাক ও ভ্যানগাড়ির দুর্ঘটনায় সড়কে দীর্ঘ যানজট। কুষ্টিয়া থেকে রাজবাড়ীর উদ্দেশে আসা দুটি লোকাল বাস ওই যানজটে আটকা পড়ে। একে অপরকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করতে গিয়ে দুটি বাসের শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে কুষ্টিয়ার মালিকানাধীন বাসের শ্রমিকরা রাজবাড়ীর মালিকানাধীন বাসের শ্রমিকদের মারধর করেন। পরে, কুষ্টিয়ার মালিকানাধীন বাসটি রাজবাড়ীর নতুন বাজার বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে সেখানে রাজবাড়ী বাসের শ্রমিকরা ওই বাসের শ্রমিকদের মারধর করেন।

এই ঘটনায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে কুষ্টিয়ার শ্রমিকরা কুষ্টিয়া বাস টার্মিনালে থাকা রাজবাড়ীর মালিকানাধীন ১০টি বাস আটকে রেখে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে, রাজবাড়ীর শ্রমিকরা সাতটি বাস কুষ্টিয়ার দৌলতদিয়ায় আটকে রাখে। এর ফলে, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়ার মালিকানাধীন মোট ১০৬টি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।