স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাঙ্গামাটির পরিস্থিতি
কয়েকদিনের সংঘর্ষ শেষে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাঙামাটি শহরের পরিবেশ। জুমিয়া পরিবারগুলো বাজারে আসতে শুরু করেছেন। শহরে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে তুলনামূলক মানুষের উপস্থিতি কম। যদিও গত শুক্রবার সহিংসতার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করায় জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি কাজ করছে।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ায় পরিষ্কার হচ্ছে শুক্রবারের তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন। সোমবার সকালে শহরের কঠালতলী ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধমন্দির মৈত্রী বিহারে গিয়ে চোখে পড়ে তাণ্ডবের চিত্র। ভাঙচুর লুটপাট করা হয় এ বিহারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটির সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ সীমিত যোগাযোগ শুরু হলেও যাত্রী নেই পরিবহনগুলোতে। জেলার উপজেলাগুলোর সাথে নৌ পথ সচল হয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সেনা পুলিশের কর্মকর্তারা। শুক্রবারের সহিংসতা পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট করতে পারেনি প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত দুটি মামলার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবারের ঘটনায় একজন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছেন। পুড়ে দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক পরিষদে কার্যালয়। বৌদ্ধ মন্দির লুটপাত, ভাঙচুরসহ অর্ধ শতাধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শতাধিক যানবাহন।