বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে ৭ ট্রলারডুবি; নিখোঁজ অনেকেই
গত কয়েকদিন ধরে সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছিলো। কিন্তু এর পরেও বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যান কয়েকজন মাঝি। ফলে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ৭টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ওই ট্রলারগুলো থেকে ৩০ জন মাঝি-মাল্লা ও জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত কয়েকদিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় অনেকগুলো মাছ ধরার ট্রলার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন ঘাটে ফিরতে শুরু করে ট্রলারগুলো। সন্ধ্যায় ঘাটে ফেরার সময় ঝোড়ো হাওয়া ও ঢেউয়ের তোড়ে ৭টি ট্রলার ডুবে গেছে।
কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার আগে সূর্যমুখী এলাকায় একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর মাঝিরা আমাদের দেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে বের হলে পরে তারা জানান, ওই ট্রলার থেকে ১৮ জেলেকে অন্য বোটের মাধ্যমে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। বাকি ট্রলারগুলোর বিষয়ে আমরা খবর নিচ্ছি।
হাতিয়ার ট্রলার মালিক লুৎফুল্লাহিল নিশান বলেন, সন্ধ্যায় ঘাটে ফেরার সময় ঝোড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্থানীয় বাবর মাঝির ১টি, জান মিয়া মাঝির ১টি, দেলোয়ার মাঝির ১টি, হেলাল উদ্দিন মাঝির ১টি, শহীদ মাঝির ১টি, মেহরাজ মাঝির ১টি ও ইউনুছ মাঝির ১টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এসময় পার্শ্ববর্তী ট্রলারগুলোর সহযোগিতায় ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে প্রায় ৩০ জন মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা বলেন, বিভিন্ন ঘাট থেকে মোবাইলে লোকজন ট্রলার ডুবির ঘটনা জানাচ্ছেন। আমরাও খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর কমপক্ষে ৩০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে ফিরে আসা জেলেরা জানান। নিখোঁজ জেলেদের বিস্তারিত শনিবার সকাল নাগাদ জানা যাবে। ইতোমধ্যে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।