বিপদ সংকেতের মধ্যেই পারাপার; ৬০ যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়েছে। এজন্য গতকাল মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়। এছাড়া বাগেরহাটে মাইকিং করে জনগণকে সম্ভাব্য বিপদ থেকে সচেতন করে কোস্টগার্ড। এছাড়াও সব ধরণের লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যেই বাগেরহাটের মোংলা নদীতে পারাপারের সময় প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে নদীর পাড়ে ডুবে যাওয়ায় কিছু যাত্রী উঠে গেলেও অনেকের নিখোঁজের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
আজ রবিবার (২৬ মে) সকাল ৯টায় মোংলা নদীর ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রবিবার ভোর থেকেই ট্রলারে করে শত শত যাত্রী পার হয়েছেন। যার অধিকাংশই ইপিজেডের ‘ভিআইপি’ নামক একটি কারখানার কর্মরত শ্রমিক। এদিন প্রত্যেকটি ট্রলারে ৭০ থেকে ৮০ জন যাত্রী ছিল। ট্রলারচালকেরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদী পার করছিল। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ছুটে আসেন ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের স্বজনেরা। তারা এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল আদায়ের কাউন্টার ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনার পরপরই খোঁজখবর রাখছি। কোনও যাত্রী নিখোঁজ আছে কিনা, সে বিষয়ে পৌরসভার সিসি ক্যামেরায় দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৬ মে) আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।