ঘূণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হয়েছে। এটি আজ রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তাই ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৬ মে) আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও উপকূলীয় এলাকায় ভোর থেকে হালকা দমকা হাওয়ার সাথে থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশে মেঘ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রুপ নেওয়ায় সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বাগেরহাটে প্রস্তুত করা ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে কাজ করবে প্রায় ৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক।
তবে উপকূলের বাসিন্দারা যাওয়া শুরু করেনি। এছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এদিকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির হওয়ায় মোংলা বন্দরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরগুনায় রাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝেই বইছে দমকা হাওয়া। তবে নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ৬৭৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাতক্ষীরায়ও রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
একই অবস্থা বরিশাল, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। বরিশাল, চাঁদপুর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। এদিকে, সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর থেকে মোংলা বন্দরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে বিভিন্ন জেলায় রাত থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে জেটি ও বর্হিনোঙ্গরে থাকা জাহাজের পন্য উঠানামা-খালাস বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রামে সন্ধ্যা থেকে পাহাড়ী এলাকা ও উপকূলে মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে।