নতুন করে ঢুকে পড়েছে ৮ হাজার রোহিঙ্গা
কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর অত্যাচার সইতে না পেরে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তারা। আবারও নতুন করে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একইসঙ্গে তিনি এ-ও জানান, বিষয়টি নিয়ে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সিরিয়াস আলোচনা হবে মন্ত্রিপরিষদে এবং এ অনুপ্রবেশ কীভাবে ঠেকানো যায়, তার পথ খোঁজা হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে গেছে। সীমান্তের বিষয়টা যদিও আমার না; কিন্তু ঢুকে পড়লে তখন আমাদের হয়ে যায়। এটা নিয়ে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সিরিয়াস আলোচনা হবে মন্ত্রিপরিষদে এবং এটা কীভাবে ঠেকানো যায় আমাদের চেষ্টা করতে হবে।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা যথাসম্ভব আটকানোর চেষ্টা করা হবে। আর আমরা নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবো না।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে কি না বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অ্যাক্টিভ কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো সীমান্ত সিল করা কঠিন। আমরা এটা স্বীকার করি। এখানে অনেকগুলো সোর্স কাজ করে, তার মধ্যে কিছু দুর্নীতিও জড়িত হয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে আটকানোর। এটা নিয়ে হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
বিশ্লেষক হিসেবে সাবেক এই পররাষ্ট্রসচিব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করতে হলে আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের কথা বলেছিলেন। এখন সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে তার অবস্থান জানতে চাওয়া হলে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি এখনও তাই মনে করি। তবে বিষয়টা ব্যক্তিগতভাবে আমার একার না। আমার কাছ থেকে বেশি কিছু আপনারা আশা করবেন না। কারণ, আমি যখন মুক্ত মানুষ ছিলাম তখন যে ভাষায় কথা বলতে পেরেছি, এখন তা পারি না। আমি যদি এখন কোনো কথা বলি, খেয়াল রাখতে হবে আমি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করি।