কোম্পানীগঞ্জে নতুন কূপ: বিপুল গ্যাসের সন্ধান
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের তিন নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। রোববার (১০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দলপুর-৩ কূপের প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল।
তিনি বলেন, এ কূপে পরীক্ষামূলক ডিএসটি টেস্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন চলছে লোয়ার জোনের টেস্ট। কূপটির মোট ৩ হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে। যার মধ্যে লোয়ার জোনের ৩ হাজার ৪১ মিটার থেকে ৩ হাজার ৪৬ মিটার এবং তিন হাজার ৫৭ মিটার থেকে ৩ হাজার ৬৪ মিটার পর্যন্ত টেস্ট কার্যক্রম চলছে। এর পরই অপর দুটি জোনের টেস্ট কার্যক্রম চলবে। ডিএসটি টেস্টের পরেই এখানে মোট মজুতের পরিমাণ জানা যাবে।
কূপের খনন অধিকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই দেশবাসীকে একটি সুখবর দিতে পারবো বলে আশা করছি। কারণ আমরা যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার আশায় কূপটি খনন করেছি তার চেয়েও বেশি গ্যাস আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২০-২৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য দেশবাসীকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের পাশে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সুন্দলপুর-৩ প্রকল্পটি খনন শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। শনিবার (৯ মার্চ) এখানে আগুন প্রজ্বলনের মাধ্যমে খননকাজ শেষে এখন চলছে ডিএসটি টেস্ট। এ পরীক্ষা শেষে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ উৎপাদনের যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর একই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপেরও খনন করা হয় এবং গ্যাস উত্তোলন করা হয়। বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রটির আওতাধীন পার্শ্ববর্তী চরকাঁকড়া এলাকায় তৃতীয় কূপ খননে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেলো।