ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট; ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ভূঞাপুর লিংক রোডে পরিবহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের কোথাও আবার পরিবহন চলাচলে ধীরগতিও রযেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে যাত্রী ও কাঁচামাল পরিবহনের চালকরা।
আজ বুধবার (৬ মার্চ) ভোররাত থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে এলেংগা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তেরো কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। যান নিরসনে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন কাজ করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) টোলপ্লাজা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দুই লেনেই পরিবহনের চাপ রয়েছে। তবে এলেঙ্গা থেকে ঢাকাগামী লেনে তেমন পরিবহন নেই।
এই যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গগামী এবং ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা হতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে সেতু গোলচত্ত্বর হয়ে চলাচল করে।
বগুড়াগামী থেকে কাঁচামালবাহী ট্রাক চালক কদ্দুস হোসেন বলেন, সেতু (পশ্চিম) টোল দিয়ে এসেই কাঁচামাল নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে সেতু (পূর্ব) গোলচত্বর এলাকায় আটকে আছি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে কয়েকগুণ গাড়ির চাপ বেশি।
এবিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেশি। সেই সাথে এলেঙ্গা হতে সেতু (পূর্ব) পর্যন্ত দুই লেনে সড়কে পরিবহনের ধীরগতি হলেই ট্রাক চালকরা ঘুমিয়ে যায়। অনেক সময় ভোরের দিকে এক গাড়ির চালক ঘুম ঘুম চোখে আরেক গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গাড়িও মাঝে মাঝে বিকল হয়ে যায়। সেগুলো সরাতেও সময় লাগে। এতে পেছনের গাড়িগুলো মনে করে, সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজ চলছে। যার কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলে। তবে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপ আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।