৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পশুর নদে ডুবলো জাহাজ; চলছে কয়লা অপসারণ
![জাহাজ ডুবি](https://citizenjournal24.com/resources/img/article/202402/94830_114.jpg?v=1.1)
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদের নৌ চ্যানেলে ৯৫০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা নিয়ে ‘এম ভি ইশরা মাহমুদ’ নামে আরও একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এ সময় জাহাজের ১১ নাবিক সাঁতরে তীরে উঠে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পশুর নদের চরকানা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পশুর নদের নৌ চ্যানেলে ৯৫০ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া ‘এমভি ইশরা মাহমুদ’ কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ করছে মালিকপক্ষ। আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো কাজ শুরু করেছে তারা।
কয়লা অপসারণ করে দ্রুত জাহাজটি সরিয়ে নিতে বলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে মোংলা বন্দরে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে পশুর নদের চরকানা এলাকায় ৯৫০ টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। এ সময় জাহাজটির ১১ নাবিক সাঁতরে তীরে উঠে আসে।
বন্দরের ৬ নম্বর মুরিং বয়ায় অবস্থান করা মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী মার্চেন্ট শিপ ‘এমভি পারাস’ থেকে কয়লাবোঝাই করেছিল কার্গো জাহাজটি। যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য নেওয়া হচ্ছিল এই কয়লা।
ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির মাস্টার কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কয়লাবোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলাম আমরা। ওই দিন পশুর নদের বানিশান্তা বাজার বয়ায় নোঙরে রাখা হয় কার্গো জাহাজটি। সেখানে জাহাজটিতে তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে। সেখান থেকে দ্রুত ছেড়ে এসে পশুর নদের চরকানা এলাকায় আসামাত্রই ডুবতে থাকে। এ সময় জাহাজে থাকা ১১ নাবিক দ্রুত সাঁতরে কূলে উঠে প্রাণ বাঁচায়। পরে কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ করে পাশে অবস্থান করা একটি বার্জে রাখতে শুরু করে মালিকপক্ষ।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো জাহাজের মালিকপক্ষ কয়লা অপসারণ কাজ করছে। দুর্ঘটনায় পড়া জাহাজটিকে দ্রুত সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। মোংলা বন্দরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।