পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবি: উদ্ধারে যাচ্ছে রুস্তম ও হামজা
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক জয়নাল আবেদিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্য মতে, বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়। এতে কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন ছিল না। তবে নয়টি পণ্যবাহী পরিবহন ফেরির সঙ্গে পানিতে ডুবে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ফেরিটি উদ্ধারে দুইটি উদ্ধারকারী জাহাজকে একসঙ্গে ডাকা হয়েছে।
হামজা দৌলতদিয়া হতে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। একই সঙ্গে মাওয়া ঘাট হতে রুস্তমও যাত্রা শুরু করেছে।
পাশাপাশি সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে যোগ দিয়েছে ডুবুরি ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকালে পাটুরিয়া ৫ নং ঘাটের কাছে বাল্কহেডের ধাক্কায় রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরি ডুবে গেছে। ফেরিতে ৭টি ছোটো ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিল।
তিনি আরও বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। যা বুধবার সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যখন ফেরিটি ডুবে যায় তখন ফেরি থেকে অনেক আহাজারি ও যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায়। এ সময় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকজন জানান, ডুবে যাওয়া ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি ট্রাক ভেসে যাচ্ছে। বর্তমানে ফেরিটিকে টাক বোট দিয়ে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
ফেরি ডুবার পর প্রথমে উদ্ধারকাজে আসে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয়রা। পরে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় নৌবাহিনীর সদস্যরা।