আতঙ্কে কক্সবাজার-বান্দরবান সীমান্তের বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৮ AM

আবারও কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতর থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত ১১টার পর শুরু হওয়া এই গোলাগুলির শব্দ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিরতি দিয়ে দিয়ে শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল, ধামনখালী, থাইংখালী, বালুখালী এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ ছিল বিশেষভাবে তীব্র।

স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

থাইংখালীর স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, রাতে প্রচুর গুলির শব্দ শুনেছি। ওপারে বড় কোনো সংঘর্ষ চলছে মনে হচ্ছে। এমন শব্দ আগে শোনা যায়নি, সবাই আতঙ্কে আছি।

স্থানীয় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প–সংলগ্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে, মিয়ানমারের মংডু জেলার ঢেকুবনিয়া এলাকায় রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী ও রাখাইনদের নিয়ন্ত্রণাধীন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবিতে দাবি করা হয়—সংঘর্ষের গুলিতে বাংলাদেশে আশ্রিত এক রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেনি।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ১২ নম্বর অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে এক রোহিঙ্গা আহত—তাহলে আমরা কি নিরাপদ?

তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, সংঘর্ষের ঘটনাটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে, সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। এপারে গুলি আসার  সম্ভাবনা নেই।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর উখিয়া ব্যাটেলিয়ন (৬৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন,  আমরা সর্তক অবস্থানে থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বালুখালী বিওপির কাছাকাছি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থাকা আসা গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে, আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা আহত প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশের ভেতরে কোনো গুলি আসার তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ১২ নম্বর ক্যাম্প সীমান্ত থেকে অনেক দূরে।

গত বছরের ডিসেম্বরে রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি জান্তা সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে সীমান্তবর্তী প্রায় ২৭১ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছিল