অর্ধশতাধিক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার অর্ধশতাধিক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ১৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করে এবং বিকেল ৩টার মধ্যে মনপুরা উপজেলার কলাতলি চর, চরফ্যাশনের ঢালচরের বেশিরভাগ গ্রামসহ ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও লালমোহনের প্রায় ৫০টিরও বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বেড়িবাঁধের বাইরের এবং চরাঞ্চলের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বৈরী আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় ভোলার ১০টি নৌরুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে, এ ছাড়া ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টি ও ঝোড়োবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে সন্ধ্যায় ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপটি দুপুর ৩টার দিকে বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। এ ছাড়া, মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোলায় আমাদের ৩৫১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সুরক্ষিত রয়েছে। দুপুর আড়াইটার দিকে তজুমুদ্দিন পয়েন্টে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার ও দৌলতখানে ৭৭ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে পানি নেমে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।