৪০ মিয়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনা ও বর্ডার গার্ড সদস্যসহ মোট ৪০ জন নাগরিককে আকাশপথে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার (০৭ মে) বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের বিশেষ বিমানযোগে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
ফিরিয়ে নেওয়াদের মধ্যে ৩৪ জন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও বিজিপি সদস্য। অপর ৬ জন সীমান্ত অতিক্রম করে মাদকপাচার ও হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারী আসামি।
আজ বুধবার (০৭ মে) দুপুরে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির ৩৪ জন সদস্যকে বাসযোগে বিজিবি ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে আনা হয়। এরপর কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে মিয়ানমারের নাগরিক ৬ আসামিকে প্রিজন ভ্যানযোগে আনা হয় বিমানবন্দরে।
এরপরই তাদের ফেরত পাঠাতে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মর্তুজা হোসান বলেন, ‘ফেরত যাওয়াদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি ও মামলায় সাজা ভোগকারীসহ ৪০ জন নাগরিক রয়েছেন। তাদের নিতে মিয়ানমারের একটি বিশেষ বিমান দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের ইমিগ্রেশন কার্যদি সম্পাদন করেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের অধিনায়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এমএম ইমরুল হাসান জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জের ধরে গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত টেকনাফের দমদমিয়া, নাজিরপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে ৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য আশ্রয় নিয়ে ছিল। এর মধ্যে ২১ জন বিজিপি সদস্য এবং ১৩ জন সেনা সদস্য ছিল। তারা কক্সবাজারে এতদিন বিজিবির হেফাজতে ছিল।
এর আগে, ৪ দফায় পালিয়ে আসা আরও ৮৭৬ জনকে স্বদেশে ফেরত নিয়েছিল মিয়ানমার জান্তা সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন, একই বছরের ২৫ এপ্রিল ২৮৮ জন, ৯ জুন ১৩৪ জন এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ১৩৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়।