ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করার নির্দেশনা দিয়ে রাজউককে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
এর আগে রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এবার ঢাকা মহানগরীর যত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সিলগালা করতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) এ চিঠি দেন।
চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।
চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিবকে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ জন নিহত ও অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, ভবনটির বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন ছিল না। ভবনের ভেতরে ওঠা-নামার সিঁড়ি নিয়ম অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। এমনকি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নোটিশ দিলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যা চরমভাবে দায়িত্বের অবহেলা।
চিঠিতে আরও বলা হয়, নিমতলীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ প্রায় প্রতি বছরই এ ধরনের অঘটন ঘটছে এবং প্রাণহানি হচ্ছে। তাই সেসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তার সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় আমি নিজে ঘটনাস্থলে ছিলাম। আমি অনেককে সেখান থেকে উদ্ধারে কাজ করেছি। কোনো অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলেই কর্তৃপক্ষ তৎপরতা দেখায়। অথচ আগে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় না। যদি আগে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাহলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।‘