বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারালেন দুই সাংবাদিক
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ও তুষার হালদার। তারা দুজনেই দ্য রিপোর্টের সাবেক সংবাদকর্মী ছিলেন। তুষার হালদার সর্বশেষ স্টার টেক নামে একটি আইটি কোম্পানিতে ভিডিও জার্নালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অভিশ্রুতি শাস্ত্রী রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তুষার হালদার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) সদ্য স্নাতক পাশ করেছেন।
জানা গেছে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের একটি রেঁস্তোরায় তারা খেতে গিয়েছিলেন।
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা ভয়াবহ এ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হতাহতদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।