টিএসসিতে রিকশাচালকের হামলায় ঢাবি শিক্ষার্থী আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানেই যানজট, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে যানজট বেশি দেখা যায়। এই যানজট নিরসনে কাজ করার সময় টিএসসিতে রিকশাচালকের হামলায় মো. খালিদ হাসান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে ক্যাম্পাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মো. খালিদ হাসান ঢাবির আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাত সাড়ে ৯টায় ভিসি চত্বরে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মিডিয়ার সহযোগিতাও চেয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনগুলোতে অনেক ক্রাউড (ভিড়) হয়। রিকশাওয়ালারা যত্রতত্র বসে থাকেন, এতে করে জ্যাম আরও বাড়ে। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই বিষয়ে রিকশাওয়ালার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুঝতে পেরে রিকশা রেখে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাস নিরাপদ করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা কাজ শুরু করেছি, এটি ধীরে ধীরে প্রয়োগ হবে। অবশ্যই আমাদের নিরাপদ রাখতে হবে, কেননা এখানে অনেক মাদকাসক্তরা ঘুরে বেড়ায়। অনেক শিক্ষার্থীই ছিনতাই ও হেনস্তার শিকার হয়।’
ক্যাম্পাস প্যাট্রোলিংয়ের বিষয়ে সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টিএসসি স্টুডেন্ট সাপোর্ট ইউনিটকে ক্যাম্পাস প্যাট্রোলিংয়ের জন্য কিছু শিক্ষার্থীর তালিকা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা তালিকাও তৈরি করেছেন। তবে এটি এখনও অফিশিয়ালি শুরু হয়নি, কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী তার আগেই স্ব-উদ্যোগে এই কাজ শুরু করেছে। আমরা তাদের নিবৃত্ত করেছি। তাদের বলেছি, তোমাদের সঙ্গে আমাদের অফিশিয়ালি বৈঠক হবে, তোমাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে, তোমাদের কার্ড দেওয়া হবে। নয়তো কেউ তোমাদের কথা শুনবে না।’
যারা অফিশিয়ালি নিয়োগের আগে এসব কাজ করছে, তাদের বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এরা সবাই ম্যাচিউর শিক্ষার্থী। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে এদের সংশোধন করা যাবে না, এদের প্রয়োজন কাউন্সেলিং। তাই আমরা এদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করব, এদের সংশোধনের জন্য যে প্রক্রিয়ায় যাওয়া দরকার আমরা সেই প্রক্রিয়ায় যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চায়। সবাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভিড় এড়াতে চায়। হয়তো তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।’