৩৫ বছর পর জাবিতে প্রকাশ্যে ছাত্রশিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৭ AM

প্রায় ৩৫ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সক্রিয় উপস্থিতির ঘোষণা দিয়েছে। সেইসঙ্গে ক্যাম্পাসে সকল দলের অংশগ্রহণে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছেন দলটি। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি এবং সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী। এছাড়া মহিবুর রহমান মুহিব বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী।

৩৫ বছর পর জাবিতে প্রকাশ্যে ছাত্রশিবির

যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবির সর্বদা প্রস্তুত। আবাসিক হলগুলোতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাদকের বিস্তার রোধে ছাত্রশিবির অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনার জন্য, গবেষণামুখী শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ ও নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদ কেন্দ্রিক সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক।

১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪২তম সিন্ডিকেট সভা প্রসঙ্গে নেতারা বলেন, সেখানে শিবির নিষিদ্ধের কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বরং সভায় বলা হয়েছিল, শিবিরের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত হওয়ায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।

তারা দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে কিছু গোষ্ঠী মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৫ বছরে ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই। চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংস্কার হোক। এই যৌক্তিক সংস্কারের প্রক্রিয়ায় সব ছাত্র সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।