বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তার টাকা খরচ নিয়ে যা জানালো সমন্বয়ক হাসনাত
গত আগস্টে হঠাৎ করে বন্যার কবলে পড়ে ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের ১১টি জেলা। বন্যা দুর্গতদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণত্রাণ সংগ্রহের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ত্রাণ সহায়তার অর্থ খরচের বিষয়ে ফের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত নতুন পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বরের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমাদের টিএসসির ত্রাণ কর্মসূচির আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানানো হয়েছিল। ব্যয় বাদে বাকি টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক শাখা, ইসলামী ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের নামে বিশেষভাবে একাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে শুধু এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচারের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত ওই একাউন্ট থেকে কোনো টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করেছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবসময় গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণে আগ্রহী।
হাসনাত আরও বলেন, কোনো বিশেষ ভুলবুঝাবুঝি থাকলে অনুগ্রহ করে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে আমাদের কাজ আরও কার্যকরী হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মডেল।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত ৪ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ, রান্না করা খাবার, ওষুধ ও মেডিকেল সেবাসহ বিভিন্ন সহযোগিতার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগ্রহকৃত অর্থের পরিমাণ ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ টাকা। অবশিষ্ট রয়েছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭৫ টাকা। এ ছাড়া প্ল্যাটফর্মটি বন্যাদুর্গত এলাকায় গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৯১ ট্রাক ত্রাণ পাঠিয়েছে।