অবশেষে পদত্যাগ করলেন কুয়েট ভিসি ও প্রো-ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩০ PM

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) তাঁরা এ পদত্যাগপত্র জমা দেন। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে।

এর আগে, বুধবার রাতের একটি বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। 

অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার গভীর রাতে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান। এ সময় তিনি বলেন, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা নিরসন এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।‎ 

এ সময় শিক্ষার্থীরা আনন্দে উল্লাস শুরু করেন। অধ্যাপক ড. অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান অনশনরতদের মুখে শরবত তুলে দিয়ে তাদের অনশন ভাঙান। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল বের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করার কথা তাদের।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গত সোমবার বিকেল থেকে অনশনে যোগ দেন ৩২ শিক্ষার্থী।