ঘণ কুয়াশায় ঢাকা পড়ে কুড়িগ্রাম; ১৩.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ AM

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর উত্তরবঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের কুড়িগ্রামের পথঘাট ও প্রকৃতি। সেইসঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। শীতের তীব্রতা ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ জনপদ।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভুত হয়। ফলে কষ্ট বাড়ছে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।

কুড়িগ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব শীত ও কুয়াশা। সকালে ঠান্ডার কারণে কাজ করা যায় না। আমরা বয়স্ক মানুষ খুব সমস্যায় পগেছি। কয়েকদিনের তুলনায় আজ খুব কুয়াশা পড়েছে।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠা-নামা করছে। এ মাসেই দু-তিনটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিপর্যয় ঘটছে। রানওয়ে কুয়াশায় ঢাকা পড়ায় বেসরকারি বিমান সংস্থার দুটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে অবতরণ করতে পারেনি। এতে ওই দুই ফ্লাইটের ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ফ্লাইট বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কোনো বিমান অবতরণ করেনি। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৮টায় বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ারের একটি ও এয়ার অ্যাস্টার একটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও নামতে পারেনি। রানওয়েতে উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকতে হয়। বর্তমানে ১২০০ মিটার দৃষ্টিসীমা বিরাজ করছে। আকাশ পরিষ্কার হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শীতের এ সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় এমনটি ঘটে।