নতুন প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে
আবহাওয়া অধিদপ্তরে নতুন প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হচ্ছে। এতে থাকছেন একজন মহাপরিচালক, চারজন পরিচালক, ১৯ জন উপ-পরিচালকসহ আবহাওয়াবিদেরা। নিয়োগবিধি চূড়ান্ত হলে সারা দেশে ১৩০০ পদের বিন্যাস হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলছেন, বর্তমানে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে এই বিভাগ। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা সমাধানে তৈরি হচ্ছে নতুন প্রশাসনিক কাঠামো।
গত অক্টোবরের শুরুতে ময়মনসিংহের নালিতাবাড়ীতে উজানের ঢলে সৃষ্টি হয় বন্যা। আবহাওয়া পূর্বাভাসের পর্যবেক্ষণ অফিস না থাকায় অতিভারী বৃষ্টির রেকর্ডও করা হয়নি ওই এলাকায়।
প্রতি বছরই উজানের ঢল ও বজ্রপাতে বিপর্যস্ত হয় সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা। পৃথিবীর সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ স্থান চেরাপুঞ্জি থেকে পানি সরাসরি আসে ভাটির টাঙ্গুয়ার হাওরে। আবার বিশ্বের বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা হওয়ার পরও এ জেলায় নেই কোনো আবহাওয়া অফিস।
মারাত্মক ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ডাউকি ফল্টের সীমানায় থাকা সিলেটেও নেই ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। দুর্যোগ-দুর্বিপাকের আগাম খবর পেতে এবং কৃষি প্রযুক্তির সুবিধার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে গড়ে উঠেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। অথচ সেখানে ১২টি পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র চারজন।
জনবল সংকটে কাজে আসছে না খাগড়াছড়ি আবহাওয়া অফিসও। কেন্দ্রটিতে কর্মরত মাত্র দুই জন। ঢাকার কেন্দ্রীয় অফিস ছাড়া হালনাগাদ কোনো তথ্য মেলে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ড. ছাদেকুল আলম বলেন, আবহাওয়া অফিস ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকার কথা। অথচ সারা দেশে ৬১ পর্যবেক্ষণাগারে অর্ধেক জনবলও নেই। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা সমাধানে আবহাওয়া অধিদপ্তরে তৈরি হচ্ছে নতুন প্রশাসনিক কাঠামো।
ড. ছাদেকুল আলম আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে নিয়োগ-পদোন্নতি বন্ধ। অথচ লোকবল সংকটে বেশির ভাগ অফিসেই সার্বক্ষণিক কাজ হয় না।
আরও নির্ভুল ও আধুনিক উপায়ে পূর্বাভাস দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে ২২৫টি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশনসহ ব্যয়বহুল আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। অথচ লোকবল সংকটে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে না পূর্বাভাসের হালনাগাদ তথ্য।
তথ্যসূত্র: ইনডিপেনডেন্ট