যেদিন থেকে কমতে পারে বৃষ্টি; জানালো আবহাওয়া অফিস
আগামীকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সরকারি এই সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ রোববার সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যশোর ও খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করে গতকাল শনিবার থেকেই। এটি বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই বৃষ্টির পরিমাণও কমে আসছে।
এদিকে এখনও সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত আর নদী বন্দর গুলোকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সংস্থাটি জানায়, আজ রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৩ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি হয়েছে পটুয়াখালীতে ২২৩ মিলিমিটার।
গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। কক্সবাজারে বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। যশোর পৌর শহরের কয়েকটি নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ সকল এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। টানা বর্ষণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয় ও জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ১৪০ হেক্টর জমির আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষেত।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, শনিবার থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণে জেলার ১৪০ হেক্টর সবজির ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ক্ষেতে কৃষকরা আগাম শীতকালীন সবজি, টমেটো, পাতাকপি, ফুলকপি, পালংশাক চাষাবাদ করেছিলেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালের বৃষ্টিতে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কষ্ট হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
সকালে দেখা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বড় রাস্তাগুলোতে পানি না উঠলেও অনেক এলাকার অলিগলিতে পানি জমে গেছে। বৃষ্টির কারণে কাদাপানিতে সয়লাব সব দিক।
গত ২৪ ঘণ্টায় (গত কাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে) ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৩২ মিলিমিটার। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালিতে ২২৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ১৩৩, খেপুপাড়ায় ১৮৯, বরিশালে ১৭৭, ভোলায় ১৩৪, মোংলায় ৯৮, সাতক্ষীরা ও সীতাকুন্ডে ৯৪ এবং কক্সবাজারে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।