রাতের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
এপ্রিলের শুরু থেকেই সারাদেশের ওপর বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও এই তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র এই গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এই যখন অবস্থা, তখন দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলেছিল, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে আজ সকালে চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ গরমের পর এই বৃষ্টি মানুষের মাঝে স্বস্তি নিয়ে আসে। তবে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল ও দুপুরের দিকে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাঁদের মৃত্যু হয়।