দুপুরের মধ্যে ৬০ কি.মি বেড়ে ঝোড়ো হওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে
গত কয়েকদিন ধরে দেশের আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। চৈত্রের খরারোদ তেমন দেখা যাচ্ছে না। আবার রাতে গায়ের ওপর কাঁথা দেওয়া লাগে। যদিও দিনের কিছু সময় প্রচণ্ড গরম পড়ে। তবে সেটা চিরাচারিত চৈত্রের রূপ নয়। আবার থেকে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে দুপুরের মধ্যে দেশের সাত জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আগামীকাল রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।