শীত ও ঠান্ডা নিয়ে ফের দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
চলতি মাসের শুরু থেকেই ঘন কুয়াশা আর হাড় কাপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কয়েক জেলায় বৃষ্টির দেখা মেলে। তবে, গত দু'দিন কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মেলায় শীতের তীব্রতা কম ছিল। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ফের দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার দাপট এবং ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়াচ্ছে। গত দুই দিন দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভোরে ও রাতে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এরমধ্যে কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং অন্তত ১১টি জেলার তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও কুঁড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে তা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, চলতি মাসের বাকি সময়ে দেশের কোনো না কোনো এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। হয়তো কোনো অঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেবে, আবার কোনো অঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ সরে যাবে-এভাবেই চলবে।
নওগাঁ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বদলগাছি আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল রোববার যা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ বিষয়ে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুর বলেন, দিন যাচ্ছে তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হচ্ছে। আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুএকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়।