শীত ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অফিস
গত কয়েকদিন ধরেই সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এর মাঝেই দেশের কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বর্তমানে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে শৈত্যপ্রবাহ আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে। সেই সঙ্গে পাঁচ বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ শীত থাকছে আরও কয়েক দিন।
আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং কিছু কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও দিনেও শৈতপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়তে পারে। আর সেই সঙ্গে পাঁচ বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
দক্ষিণের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি যে হবে তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় যশোরে, ২২ মিলিমিটার। আর চুয়াডাঙ্গায় ২০ ও সাতক্ষীরায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টির কারণে এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখার কোনো ঘোষণা না এলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের প্রভাব পড়ে সেখানে। এ ছাড়া শীতের কারণে চার জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।