সংসদ নির্বাচনের ৩ মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে

জাতীয় সংস্কার জোট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা করেছে।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর (অব.) আমিন আহমেদ আফসারী প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন। এই জোটে চারটি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দল রয়েছে, যা ধাপে ধাপে আরও সম্প্রসারিত হওয়ার কথা বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
১০ দফা প্রস্তাবনা হলো—
১. অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের মধ্য দিয়ে সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উদ্যমী সংগ্রামী ও জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনা ধারণকারী ব্যক্তিদের নিয়ে সরকার পুনর্গঠন করা।
২. কালক্ষেপণ না করে আগামী ৫ আগস্ট বিজয়ের বর্ষপূর্তির আগেই সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
৩. অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয় বরং তাদেরকে হতে হবে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সরকার, আবু সাঈদ মুগ্ধদের সরকার এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার সরকার বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া।
৪. অনতিবিলম্বে সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করা।
৫. আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করা।
৬. জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত সংগ্রামী বীরদের চিকিৎসা, নিরপত্তাসহ সব বিষয়ে পূর্ণ দৃশ্যত সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করা।
৭. অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল বৈষম্যবিহীনভাবে আলোচনা করে সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সমভাবে গুরুত্ব দেওয়া।
৮. শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে উদ্যোগ নেওয়া।
৯. সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার ও আধুনিকায়নে উদ্যোগ নেওয়া।
১০. নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে জাতীয় নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর (অব.) আমিন আহমেদ আফসারী বলেন, "জুলাই সনদ চব্বিশের শহিদদের রক্তে লেখা গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় দলিল হিসেবে এসব সংস্কার গণ্য করা হবে। পবিত্র এই দলিলটি সংস্কার, বিচার, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত এবং জাতীয় স্বার্থের রক্ষা কবজ হিসেবে ইতিহাস হয়ে থাকবে।"