বছরের শুরুতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৩ PM

ঘটনাবহুল বছর ছিলো ২০২৪। আলোচনায় থাকা পুরাত এ বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত মুখর হয়ে উঠেছে পর্যটকদের আনাগোনায়। বছরের প্রথম দিন ভোরে সূর্যোদয় দেখেছেন হাজারো পর্যটক। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে নতুর বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে থাকে পর্যটকদের পদচারণা। দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদেরও দেখা মিলেছে সাগরকন্যা খ্যাত এই সমুদ্র সৈকতে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। ফলে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের জায়গা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি ভ্রমণবিলাসী মানুষকে বারবার টেনে আনে সমুদ্রের কাছে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়কাটা। শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার ছুটি ও ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে আসা প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে সৈকত এলাকা।

ঘুরতে আসা পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের অনেকেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করতে এসেছেন।

এক পর্যটক বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটা এসেছি। নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে জীবনের আরও একটি নতুন বছর শুরু হলো। নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে পেরে খুশি।’

আরেক পর্যটক বলেন, ‘নতুন বছরের নতুন সূর্য উপভোগ করতে খুব সকালে কুয়াকাটা সৈকতে এসেছি। কিন্তু ঘন কুয়াশা থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সৈকতের পরিবেশ, সমুদ্রের গর্জন আমাকে বিমোহিত করে।’ 

তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবার পর্যটক তুলনামূলক কিছুটা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘এ বছর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি তুলনামূলক কিছুটা কম। আবাসিক হোটেলগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল মোতালেব শরীফ বলেন, ‘থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আবাসিক হোটেলগুলোতে ৪০%  ছাড় দেওয়া হয়েছে।’

তবে নিরাপত্তার ঘাটতি নেই জানিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সকল দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুরো সৈকত এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।’