ভ্রমণে কমবে বয়স; বলছে গবেষণা
অনেকেই আছেন যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন না। আবার অনেকেই ভ্রমণপিপাসু। আর আপনি যদি ভ্রমণপিপাসু হয়ে থাকেন, প্রায়ই ভ্রমণে যান, তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর!
কেননা, অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা জানাচ্ছে, ভ্রমণ আপনার বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে। শারীরিকভাবে আপনাকে রাখে তরুণ। আবার মানসিকভাবেও আপনি তরুণ অনুভব করেন। সম্প্রতি সায়েন্স ডেইলিতে প্রকাশিত এই গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ভ্রমণে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয়, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, মানসিক উদ্দীপনা, বিভিন্ন অ্যাকটিভিটি, স্পা, ভালো ঘুম, নতুন নতুন খাবার চেখে দেখা—এ সবকিছুই বয়স বাড়ার প্রক্রিয়ার লাগাম টেনে ধরে। এই গবেষণা দলের প্রধান ফাংগলি হু ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে জুম কলে বলেন, ‘বয়সকে রুখে দেওয়া অসম্ভব। তবে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে ফেলা সম্ভব। ঘুরে বেড়ানো এমন একটি কাজ, যা আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গণস্বাস্থ্যেও সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এটা শারীরিক আর মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই প্রযোজ্য।’
ভ্রমণ মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট থেকেও ভালো
হালের ‘ওয়েলনেস ট্যুরিজম’, ‘হেলথ ট্যুরিজম’ বা ‘ইয়োগা ট্যুরিজম’—স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে কয়েক বছর ধরে প্রচারিত হয়ে আসছে। বাস্তবতা হলো, যেকোনো ধরনের ভ্রমণই আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ফাংগলি হু আরও জানান, ‘প্রকৃতি, বিশেষ করে সবুজ অরণ্য বা সমুদ্র আমাদের শরীরে আর মনে দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি প্রকৃতির অন্য প্রাণীরাও একইভাবে আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এমনকি কিছু শারীরিক রোগেও প্রকৃতির কাছাকাছি ভ্রমণ দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।’
এ গবেষণায় বলা হয়েছে, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট, পর্যাপ্ত ঘুম আর ব্যায়ামের ফলে মানুষ যেভাবে উপকৃত হয়, এক ভ্রমণেই মিলবে এর সবকিছু।