সাজেকে আটকা ৩৫০ জনের অধিক পর্যটক
ভারী বর্ষণে মাইনি ও চেঙ্গী নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলে জেলার মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়ন ও জেলার সদরের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে যাওয়ায় লংগদু ও সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে সাজেকে আটকে পড়েছেন ৩৭০ জন পর্যটক।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার পর্যটক আটকে পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পর্যটকেরা যাতে করে ভালো থাকেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজারও।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে মাইনি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাচ্ছে। এর মধ্যে মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় লংগদু সঙ্গে খাগড়াছড়িসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। চলতি বছরে তিন দফা বন্যায় এই ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের কবাখালিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির সাজেকের সঙ্গে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা বলেন, পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।