দুবাই ভ্রমণে ইচ্ছুকদের জন্য দুঃসংবাদ
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অন্যতম পছন্দের একটি জায়গা হলো সংযুক্ত আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাই। শহরটির আকাশচুম্বী অট্টালিকা, চাকচিক্য, আমোদ-প্রমোদের বিশাল সম্ভারের টানে আকৃষ্ট হতে বাধ্য বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। কিন্তু, এবার অনেকটা কঠিন হয়ে গেল পৃথিবীর অন্যতম এই শহরটি ঘুরে দেখার স্বপ্নপূরণ করা।
আমিরাত কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করার ফলে অতীতে যেভাবে সহজ উপায়ে ভিজিট ভিসায় প্রবেশ করা যেতো, এখন থেকে তা আর হচ্ছে না।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, এখন থেকে যেকোনো দেশ থেকে ভ্রমণকারীরা দুবাই প্রবেশ করতে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে নগদ বা ক্রেডিট কার্ডে ৩ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৬ হাজার টাকা) সমপরিমাণ অর্থ সঙ্গে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে থাকতে হবে বৈধ রিটার্ন টিকিটও। দুবাইয়ের ফ্লাইটে চড়ার আগেই বাধ্যতামূলক এই অর্থ ও বৈধ রিটার্ন টিকিটের পাশাপাশি বাসস্থানের বৈধ (ইজারি) কাগজপত্রের প্রমাণ দেখাতে হবে।
আমিরাতে প্রবেশের নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করার বিষয়টি ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা শুরু করেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। কিছু ভারতীয় যাত্রী যারা এসব শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন তারা বলেছেন, তাদের ভারতীয় বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের ফ্লাইটে উঠতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু যাত্রী দুবাইয়ের বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দুবাই ভ্রমণকারীদের অবশ্যই কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা সম্বলিত পাসপোর্টসহ একটি বৈধ ভিসা থাকতে হবে। যাত্রীকে অবশ্যই রিটার্ন টিকিট বহন করতে হবে। এগুলো আগেও মনিটরিং করা হয়েছে। তবে এখন দুবাইতে থাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোরভাবে চেকিং চলছে। সেইসঙ্গে ভ্রমণকারীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাসস্থানের বৈধ ঠিকানার প্রমাণ প্রদান করতে হবে; এটা হতে পারে আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়ি বা হোটেল বুকিং– যেকোনো কিছু।
ট্র্যাভেল এজেন্টরা অবশ্য বলছেন, এ নিয়ম দীর্ঘকাল ধরেই চালু আছে। তবে দুবাইয়ে ভ্রমণকারীদের আর্থিক স্বচ্ছতা, বাসস্থান ও বৈধ সকল ডকুমেন্ট নিশ্চিতের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা এড়াতে সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ নজরদারি কঠোর করেছে। এর আগে ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও দুবাইয়ে থেকে যাওয়ার অনেক ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপটি আমিরাতের পর্যটন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।