ঘরে বসেই মিলবে কুয়েতের ভিসা; আবেদন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:০৪ PM

ডিজিটাল অবকাঠামোর আধুনিকায়ন ও বৈশ্বিক সংযোগ জোরদারের অংশ হিসেবে কুয়েত চালু করেছে নতুন ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) ব্যবস্থা। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্ল্যাটফর্ম কুয়েতে ভ্রমণ, ব্যবসা, পারিবারিক ও সরকারি সফরকে আরও সহজ ও দ্রুততর করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, উপসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যও নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে।

নতুন এই প্ল্যাটফর্মে চার ধরনের ভিসা পাওয়া যাবে: পর্যটন, পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও সরকারি। এর মাধ্যমে আবেদনকারীরা কম সময়, কম জটিলতা এবং সহজ প্রক্রিয়ায় ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন। পর্যটন ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন এবং পারিবারিক ও ব্যবসায়িক ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

চার ধরনের ভিসার সুবিধা 

১. পর্যটন ভিসা : এই ভিসায় একজন বিদেশি সর্বোচ্চ ৯০ দিন কুয়েতে অবস্থান করতে পারবেন। কুয়েতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্থান ও অবসর বিনোদনের সুযোগ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী।

২. পারিবারিক ভিসা : কুয়েতে বসবাসরত অভিবাসীরা তাদের স্বজনদের সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। এতে পরিবার পুনর্মিলনের সুযোগ সহজ হবে।

৩. ব্যবসায়িক ভিসা : উদ্যোক্তা, পেশাজীবী এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি যারা কুয়েতে মিটিং, সেমিনার বা ব্যবসায়িক আলোচনায় অংশ নিতে চান, তাদের জন্য ৩০ দিনের এই ভিসা সুবিধা দেবে।

৪. সরকারি ভিসা : আন্তর্জাতিক সম্মেলন বা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে আসা কূটনৈতিক ও সরকারি প্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত এই ভিসা, যা কুয়েতি সরকারের আমন্ত্রণসাপেক্ষে প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া 

এই ই-ভিসা ব্যবস্থার সুবিধা পেতে কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এতে কাগজপত্র ও দাফতরিক ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে।

এই উদ্যোগ কুয়েতের বৃহৎ ডিজিটাল রূপান্তর পরিকল্পনার অংশ। সরকারের লক্ষ্য- দেশকে আধুনিক নাগরিকসেবায় অগ্রগামী হিসেবে গড়ে তোলা এবং কুয়েতকে আন্তর্জাতিক পর্যটন, বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে রূপান্তর করা।

কুয়েতে ই-ভিসা চালুর উদ্যোগটি উপসাগরীয় অঞ্চলের আসন্ন ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুর ভিসা’ প্রকল্পের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ভিসা একাধিক উপসাগরীয় দেশ ঘুরে দেখার অনুমতি দেবে। এই বহুল প্রতীক্ষিত বহুদেশীয় ভিসা ব্যবস্থাটি শিগগিরই চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

কুয়েত বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি লুৎফর রহমান মুখাই আলী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী গ্রুপ তৈরি করে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়িক সংগঠন তৈরি করা যাবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক পণ্য মধ্যপ্রাচ্যে আনা যাবে।

এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষ করে পর্যটন ও ব্যবসায়িক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা দেখা দেবে।