নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ও ইন্টারনেটের দাম কমানোর দাবি
ডিজিটাল সেবা উদ্যোক্তারা ইন্টারনেটের দাম কমানো, মেয়াদ বাড়ানো, নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, প্রান্তিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন ও টেলিযোগাযোগ আইনের সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব দাবি জানান।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইসিটি খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যে বৈষম্য হয়েছে তা খুঁজে বের করছি। সেবার মান বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারাও ইন্টারনেটের দাম কমানোর পক্ষে মত দেন।’
বৈঠকে ব্রডব্যান্ডের মতো আনলিমিটেড মাসিক মোবাইল ডাটা মূল্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার মধ্যে আনা উচিত বলে জানান বিডিজবস ডটকম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফাহিম মাশরুর।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সাব্বির হোসেন বলেন, ইউএসডি ব্যবহারে এসএমএস খরচ কমানো দরকার।
দারাজ বাংলাদেশের প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, ‘ডিজিটাল সেবাই ভবিষ্যৎ। অ্যাপে আইপিফোন ব্যবহারের বিষয়টি সহজতর করা দরকার।’
পাঠাও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পাশাশি ১৫ দিন বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল। সেই সময় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের।’
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘যদি শতকরা ১০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ে তাহলে তা জিডিপিতে ১.৮ শতাংশ ভূমিকা রাখে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দায় চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ডেটা ও সাইবার সুরক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই গত ১০ বছরের যে বৈষম্য হয়েছে তা খুঁজে বের করছি। ’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ-উল-বারী বলেন, ‘ইন্টারনেট বাতাসের মতো ফ্রি হওয়া উচিত। ডাটাকে পানির দামে আনতে হবে।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দায় চৌধুরী। বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আলিম। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান, কমিশনার ও মহাপরিচালকরা এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।