শব্দ শুনে রোগ নির্ণয় করবে এআই; কাজ করছে গুগল
যত দিন যাচ্ছে ততই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সক্ষমতা। সেইসঙ্গে এআই নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি এআই-ভিত্তিক নিত্যনতুন উদ্ভাবনের খবরও আসছে নিয়মিতই। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে যেমন এআই গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে তেমনি এআই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতেও খরচ করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী এআই নিয়ে তৈরি আলোড়ন উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে এমনটা দ্বিধাহীনভাবেই বলা যায়। পাশাপাশি এআই-ভিত্তিক নতুন নতুন ফিচার ও টুলসের আগমনের ধারাও বজায় থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সম্প্রতি যেমন জানা গেল, এআই প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার একটি টুল তৈরির কাজ করছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল।
শব্দ সংকেত (সাউন্ড সিগন্যাল) ব্যবহার করে যক্ষ্মার মতো শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে সক্ষম এমন একটি এআই টুল তৈরি করতে যাচ্ছে গুগল। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই গুগলের ফাউন্ডেশন এআই মডেলকে হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের ৩০০ মিলিয়ন শব্দ (অডিও সাউন্ড) দিয়ে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
এআই প্রযুক্তি-ভিত্তিক এই টুলটি তৈরিতে গুগল সম্প্রতি ভারতের স্টার্টআপ ‘স্যালসিট টেকনোলজিস’-এর সাথেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এআই ব্যবহার করে শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে থাকে স্টার্টআপটি। গুগলের প্রশিক্ষিত এআই মডেলটিকে স্মার্টফোনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে এই স্টার্টআপটি।
আগাম শনাক্তকরণ বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় শ্বাসযন্ত্রের রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই এআই টুলটি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য নয় সেখানেও একেবারে শুরুতেই রোগের লক্ষণ শনাক্ত করার মাধ্যমে রোগীর আরোগ্যলাভের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে এই টুলটি।
স্মার্টফোনে থাকা এই টুলটি হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের শব্দ বিশ্লেষণ করে শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ আগাম শনাক্ত করতে পারবে। উল্লেখ্য, এআই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষের অনুভূতিকে ডিজিটাইজ করার প্রচেষ্টায় গুগলের অংশগ্রহণ এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালে গুগলের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ডিভিশন ‘জিবি’ থেকেও এমনই একটি প্রজেক্টে বিনিয়োগ করা হয়েছিল।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, টেকক্রাঞ্চ