মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে জানা যাবে আজ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চলা সহিংসতার জেরে সারাদেশেই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সিমীত আকারে চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা এখন চালু হয়নি। তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে আজ বৈঠকে বসবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২৮ জুলাই) অপারেটরদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, শিগগিরই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে। রোববার সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করব। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে। আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া ডাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
প্রসঙ্গত, পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কুটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রপ্তানিমুখী খাত ওয়াইফাই সেবা পায়।
এর পরদিন ২৪ জুলাই থেকে বাসা-বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আছে।