ঘরে ঘরে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর সরকার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষকে ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চাই। পাবলিক- প্রাইভেট অংশীদারত্বে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে এক লাখ সংযোগ দেওয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর বনানীতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি’র নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ঘরে ঘরে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়াসহ দেশের সাড়ে তিন লাখ কিলোমিটার এলাকা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ২০০৬ সালে দেশে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ ছিল মাত্র ৫০ হাজার কিলোমিটার। এখন তা সোয়া কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
আইএসপিএবি’র সভাপতি এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই নগর থেকে ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার (ওভারহেড ক্যাবল) মাটির তলদেশে নিয়ে যেতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের শহরকে বিপদমুক্ত করতে সব ওভারহেড ক্যাবল মাটির নিচ দিয়ে নিতে চাই। এ ব্যাপারে আইএসপিএবি, এনটিটিএনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক আইএসপিএবি কার্যালয়ে একটি ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষকে ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চাই। পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারত্বে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে এক লাখ সংযোগ দেওয়া হবে। এজন্য আপনাদের আরও দক্ষ হতে হবে। বিটিআরসি অভিভাবক হিসেবে আইএসপি ব্যবসাকে টেকসই করবে। তাদের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হবে।