সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এবার তিনি নিজ নির্বাচনী আসন যাদবপুরের সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তিনি পদ ছাড়ার কথা জানান। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে নিজেই তা ঘোষণা করেছেন। মিমি জানান, তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় মমতা যখন বক্তৃতা করছেন, তখনই তার ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন মিমি। কিছু ক্ষণ পর ওই ঘরে ঢোকেন তৃণমূলের দুই তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী এবং জুন মালিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হলে তিনি নিজের ঘরে যান। তার পর মিমি এবং বাকিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়।
সেখান থেকে বেরিয়ে মিমি জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এখনও সেই ইস্তফা গ্রহণ করেননি। মিমি এ-ও জানান, মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসবেন।
সম্প্রতি সংসদের দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রণালয় এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্যও। এই দু’টি পদ থেকেই তিনি ইস্তফা দেন। এর পর জানা যায়, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদও মিমি ছেড়ে দিয়েছেন। তার পর থেকেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আর কি প্রার্থী হবেন মিমি? নিজের ধারাবাহিক পদত্যাগ প্রসঙ্গে অবশ্য এর আগে তিনি মুখ খোলেননি। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, আর সাংসদ থাকতেই চান না তিনি। মিমি বলেন, ‘আমার যা বলার ছিল, দিদিকে বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা