বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে কক্সবাজারে নিম্নাঞ্চল
ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলের কারণে রামুর নদীবান্ধব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে রামুর বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক বসতবাড়িতে ঢুকে পড়েছে পানি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চলাচলের রাস্তা আর চাষাবাদের জমির।
সরোজমিন গিয়ে দেখা যায়, রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রাকিব জানায়, থোয়াঙ্গাকাটা, থিমছড়ি, জুমছড়ি খালের পানিতে প্রতিবছর এভাবেই প্লাবিত হয় আমাদের গ্রাম। এ জন্য সরকারিভাবে দীর্ঘ মেয়াদী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের ঘরে পানি ডুকে প্রতিবছর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এখানে উপজেলা থেকে নির্দিষ্ট কোনো বরাদ্দ না দেয়ায় বন্যার জনদুর্ভোগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসরবরাহ কিছু দিলেও স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক, ধনী ও পেশাদার মানুষেরা আর্তস্বদ করে নিজেরা বন্টন করে নেয়। তাই প্রত্যেক বন্যা কবলিত মানুষ যাতে সেই অর্থ পায় সে জন্য
দায়িত্বপ্রাপ্তদের আরও সচেতন হতে হবে।
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক রাকিব হাসান আরও জানান, অতি বৃষ্টিতে উপজেলার হতদরিদ্র কৃষক ও মাছচাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রামু উপজেলার গর্জনিয়ার থোয়াঙ্গাকাটা, থিমছড়ি, জুমছড়ি মানুষেরা বর্তমানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এখন আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা করছি।