মুমিনের পরিচয়
পড়ুন জানুন আর নিজেকে পরিবর্তন করুন :
মুমিন শব্দটি আরবি। অর্থ বিশ্বাসী, আত্মসমর্পণকারী, নত শির ইত্যাদি। নিজের সব চাওয়া-পাওয়া, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, সুখ-আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে কেবলমাত্র মহান রবের নির্দেশকে যিনি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন বা মেনে নেন তাকেই আরবি পরিভাষায় মুমিন বলা হয়। এ জন্য মুমিনকে নানবিধ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।
হাদিসে বিষয়টি বলা হয়েছে এভাবে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার এবং কাফের ব্যক্তির জন্য জান্নাতের সমতুল্য।’ সহিহ মুসলিম : ২৯৫৬
কিন্তু এই কষ্ট ও ত্যাগেরও রয়েছে বিশাল মূল্য। হজরত আনাস (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা কোনো মুমিনের নেক কাজকে নষ্ট করেন না, দুনিয়াতেও তার বিনিময় প্রদান করেন আবার আখিরাতে তার প্রতিদান দেন। আর কাফের আল্লাহর জন্য যেসব ভালো কাজ করে দুনিয়াতে সে তার বিনিময় ভোগ করে, অবশেষে যখন সে আখিরাতে পৌঁছাবে, তখন তার (আমলনামায়) কোনো ভালো কাজ থাকবে না যার প্রতিদান সে পেতে পারে। সহিহ মুসলিম : ৫১৫৯
মুমিনের গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য :
মুমিন জিন্দেগির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো মহব্বত ও দয়া। এজন্য মুমিনকে মহব্বত ও দয়ার প্রতীক বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই সৎকর্মশীল মুমিনদের জন্য দয়াময় আল্লাহ তাদের জন্য (মানুষের অন্তরেও) মহব্বত পয়দা করে দেন।’ (সুরা মরিয়ম : আয়াত ৯৬)। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুমিন মহব্বত ও দয়ার প্রতীক।
ওই ব্যক্তির মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই, যে কারও সঙ্গে মহব্বত রাখে না এবং মহব্বতপ্রাপ্ত হয় না।’ (মুসনাদে আহমাদ)। অবশ্যই এই ভালোবাসা হবে নিতান্তই আল্লাহ তায়ালার জন্য। অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘ওই ব্যক্তি তার ঈমানকে দৃঢ় করল, যে কাউকে ভালোবাসল আল্লাহর জন্য, কাউকে ঘৃণা করল আল্লাহর জন্য। কাউকে কোনো কিছু দিল আল্লাহর জন্য আর কাউকে কোনো কিছু দেওয়া থেকে বিরত থাকল কেবল আল্লাহর জন্য।’ (তিরমিজি)