বাংলাদেশকে আমিরাতের দুঃসংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৭ PM

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিসা পেতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশিদের নানা জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আরেকটি দুঃসংবাদ এসেছে।

সম্প্রতি ইউএই ভিসা অনলাইনে প্রকাশিত দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের জন্য পর্যটন ও কর্ম ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও আটটি দেশ রয়েছে। সেসব দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডা।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। শুধু পর্যটন বা কর্ম ভিসাই নয়, ব্যবসায়িক উদ্দেশে আমিরাতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই ৯ দেশের নাগরিকেরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯-এর মতো মহামারিকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা এখনো দেয়নি দেশটির সরকার।

এদিকে অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় এবার এইচ-১বি ভিসার ওপরও নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসন ভিসার বাৎসরিক ফি ১ হাজার ৫০০ ডলার থেকে এক লাফে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান (১ ডলার সমান ১২০ টাকা হিসেবে)।

নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুযায়ী অভিবাসীদের আগমন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এইচ-১বি একটি বিশেষ ভিসা কর্মসূচি, যার আওতায় মার্কিন কোম্পানিগুলো অস্থায়ীভাবে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেয়। ২০০৪ সাল থেকে চালু এই কর্মসূচি প্রতি বছর ৮৫ হাজার বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও কাজ করার সুযোগ প্রদান করে।

প্রধানত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং ব্যবসায় প্রশাসনের ক্ষেত্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয় এই ভিসার আওতায়। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল, গুগল প্রভৃতি কোম্পানি এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। এসব কোম্পানিতে শত শত বিদেশি কর্মী কাজ করছেন।