লিসবনে পালিত হল জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা করে সরকার। এজন্য গতকাল সারাদেশ পালিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থান দিবস। তবে শুধু দেশেই নয়, বিদেশি বাংলাদেশ দূতাবাসেও পালিত হয়েছে দিবসটি।
পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় জুলাই ঘোষণাপত্রসহ ‘জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস’ বিশেষ গ্যালারিসহ আলোচনা সভা, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাস কর্মকর্তারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করেন। পরে ‘জুলাই আগস্টের স্মৃতিচিহ্ন’ শীর্ষক বিশেষ গ্যালারি ‘জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস’ উদ্বোধন করা হয়। সেই সঙ্গে উন্মোচিত করা হয় জুলাই ঘোষণাপত্র।
গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত এম মাহফুজুল হক।
পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পর্তুগালের মূলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং দেশটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রবাসীদের আগ্রহ সম্মিলিত গণস্বাক্ষর আহ্বান করেন।
এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের দূতাবাস সেবার মান বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে তিনি জানান, প্রবাসীরা দূতাবাসের সেবা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হলে তারা যেন বিষয়টি দূতাবাসকে অবহিত করেন। তিনি আশ্বাস দেন, ‘যে কোনো অভিযোগ আগ্রহের সঙ্গে গ্রহণ এবং তা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। তারা আলোচনায় গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য, ত্যাগ ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় এর অবদান নিয়ে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় একটি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র, যাতে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জনগণের আন্দোলনের ধারাবাহিকতা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য গ্যালারি প্রদর্শনী উন্মুক্ত ও সৌজন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।